পলিথিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ


- গল্প লিখেছেনঃ জহির ইমাম
- তারিখঃ 2017-04-17
- ভিজিটঃ 1456
পলিথিন অপচনশীল ও সহজলভ্য হওয়ায়, দীর্ঘমেয়াদে এর ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্বক হুমকি বয়ে নিয়ে আসে। তাই পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার সংকুচিত করতে সরকার সকল ধরণের পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর জেলা প্রশাসন নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছে।
২১ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ বেলা ১১ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর সদর বড় বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করতে যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের নির্দেশে আমি একটি অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে সহযোগিতা করে র্যাব-৬, যশোর এর সদস্যবৃন্দ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম। অভিযানে আরোও অংশ নেন পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট জনাব মোঃ আতাউর রহমান। অভিযান পরিচালনা কালে বড় বাজারের ভেতরের একটি পুরাতন ভবনে তল্লাশী চালানো হয়। উল্লেখ্য ভবনটি আবাসিক নয়, বরং ভিন্ন ভিন্ন দোকানের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। ভবনের পৃথক পৃথক কয়েকটি কক্ষ হতে প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়া বিপুল পরিমান পলিথিন শপিং ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এ সকল পলিথিন শপিং ব্যাগ সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট জনাব মোঃ আতাউর রহমান আটককৃত বিধান (২৮);পিতাঃ সোম্যনাথ পাল , সুমঙ্গল অধিকারী (২৫) পিতা: সমির অধিকারী এবং অরবিন্দু (৪৩) পিতা : মৃত হরিদাস এর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ সংরক্ষন ও বিক্রয়ের অভিযোগ দাখিল করেন, যা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫- এর , ৬ক ধারার লঙ্ঘন এবং ১৫(১) এর ৪ ধারাধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।
আমি দাখিলকৃত অভিযোগ আমলে গ্রহণ করি এবং আসামীদের অপরাধ সংঘটনের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করি। এরপর নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ সংরক্ষণ ও বিক্রির জন্য তিনজন
আসামীগণের প্রত্যেককে ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) করে মোট ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা দন্ড প্রদান করি। উদ্ধারকৃত আনুমানিক ১২০০ (বার শত) কেজি পলিথিন ব্যাগ জব্দ করে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয় সিনিয়র কেমিস্ট জনাব মোঃ আতাউর রহমানকে নির্দেশনা প্রদান করি। যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
