আর নয় সড়ক দুর্ঘটনা
- গল্প লিখেছেনঃ ছন্দা পাল
- তারিখঃ 2017-04-20
- ভিজিটঃ 4725
আমি সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রংপুর জেলায় কর্মরত। এই জেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কটি বিভিন্ন কারণে সড়ক দুর্ঘটনা প্রবণ। বিশেষত পীরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, তারাগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন মহাসড়কে দুর্ঘটনার হার বেশি। মহাসড়কের দুই পাশে পিলার না থাকা, অতিরিক্ত আকাবাকা রাস্তা যেমন এর কারণ ঠিক তেমনভাবে রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ী, ড্রাইভারের লাইসেন্স না থাকা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা এর কারণ। একারণে রংপুর জেলায় আমরা যারা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রয়েছি তারা নিয়মিতভাবে রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ী, ড্রাইভারের লাইসেন্স না থাকা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা ইত্যাদি অপরাধের জন্য মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ আইনের বিভিন্ন ধারায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকি। এরকম একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ২০১৬ সালের ২০শে এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১১টার সময় সংঘটিত হয়। তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী এলাকায় দুইটি পরিবহনের
মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ জন মারা যান এবং ৬৯ জন যাত্রী আহত হন। উক্ত দুর্ঘটনার পরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকেও যেমন বিবিধ নির্দেশনা দেয়া হয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের উদ্যোগে রাস্তায় বিভিন্ন সাইনবোর্ড লাগানো হয় এবং একই সাথে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়। উক্ত দুর্ঘটনার পরে ২২শে এপ্রিল মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ আইনের বিভিন্ন ধারায় রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ী, ড্রাইভারের লাইসেন্স না থাকা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা, রুট পারমিট না থাকা ইত্যাদি বিভিন্ন অপরাধে আইনের বিভিন্ন ধারায় মোট ২২টি বাস, ট্রাক, পিকআপ এর চালক দের বিভিন্ন মেয়াদে জরিমানা করা হয়। এর ফলে রাস্তায় গাড়ী চলাচলে চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধি পায় যা নিঃসন্দেহে মোবাইল কোর্টের সাফল্য।