৫ বছরে পরিস্কার হলো ডালডার সেই পাত্রটি
- গল্প লিখেছেনঃ মোহাম্মদ রুহুল আমীন
- তারিখঃ 2017-03-08
- ভিজিটঃ 1692
তখন আমি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনে এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত।নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন এলাকায় কয়েকটি বেকারি ও আইসক্রিম কারখানায় অভিযান চালাই।
পূর্বানী বেকারি কারখানায় গিয়ে দেখা যায় সারি সারি টিনের কৌটা।সেগুলোয়
পোড়া পাম ওয়েল দিয়ে চানাচুর ভাজা হচ্ছে।অত্যন্ত নোংরা ও মরিচা পড়া পাত্রে খোলা অবস্থায়
ডালডা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। কারখানার শুরু থেকে গত ৫
বছরে একবারও
পরিস্কার করা হয়নি পাত্রটি।এছাড়া ডালডার সাথে বিস্কিটের গুড়া মিশিয়ে বানানো
হচ্ছে ঘি, বাটার বানানো হচ্ছে ডালডার সাথে চিনি ব্লেন্ড করে।যা ওই বেকারিতে
বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।এরকম বিভিন্ন অভিযোগে পূর্বানী বেকারির
ব্যবস্থাপক শিমুল মজুমদারকে দুইমাসের বিনাশ্রম
কারাদন্ড প্রদান করি।
এনার্জি আইসবার আইসক্রিম কারখানায় দেখতে পাই, ওয়াসার লাইন থেকে সরাসরি
পানি তুলে আইসক্রিম বানানো হচ্ছে।এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রং, ঘনিচিনি ব্যবহার করা হচ্ছে সেই আইসক্রিমে।তেতুলের জুস বানাতে
ব্যবহার করা হচ্ছে ওয়াসার
পানি আর সাইট্রিক এসিড ।এখানে আরো উল্লেখ করা যায় যে প্রতিষ্ঠানটির আইসক্রিম বানানোর
কোন লাইসেন্সও নেই।এসব অভিযোগে এনার্জি আইসবারের মালিককে এক
মাসের কারাদণ্ড প্রদান করি।
অভিযানে
২০০০ পিস আইসক্রিম এবং ৩০ লিটার পোড়া পাম ওয়েল নালায় ফেলে ধ্বংস করার নির্দেশ দেই যা আমার সামনেই বাস্তবায়ন করা হয়।এরকম অভিযান অব্যাহত থাকলে
অসাধু ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্ম কমে আসবে বলে বিশ্বাস করি।