মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি
- গল্প লিখেছেনঃ অমিত চক্রবর্ত্তী
- তারিখঃ 2017-04-18
- ভিজিটঃ 1799
সিলেট জেলার সৌন্দর্য অপরিসীম। তিনশত ষাট আউলিয়ার দেশে পর্যটকের সুদৃষ্টি দিন দিন বেড়ে চলেছে। এ জেলার সদর উপজেলার জিন্দাবাজার, নাইওরপুল, বন্দরবাজার, কদমতলী বাস টার্মিনালে দুর্ঘটনাও ঘটত প্রায়ই। পথচারী ও যাত্রীদের জীবনের তেমন নিরাপত্তা ছিলনা । কদমতলী বাস টার্মিনালে ফিটনেসবিহীন বেশ কিছু বাস ও ট্রাক রাখা থাকতো। এ সকল স্থানে বেশ কিছু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় । পরবর্তীতে এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, মোবাইল কোর্ট আসছে শুনে ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভাররা পালাতে শুরু করতে লাগলো। অনেকেই দলে দলে ড্রাইভিং জ্ঞান ভালোভাবে অর্জন করে বি আর টি সি তে ড্রাইভিং পরীক্ষা দিয়ে সফল হওয়া সাপেক্ষে লাইসেন্স পেতে চেষ্টা করতে লাগলো। মোবাইল কোর্টের লক্ষ্য ছিলো, অবৈধ পার্কিং নির্মুল করার পাশাপাশি নিরাপদ যান চলাচল নিশ্চিত করা। জনগনের চলাচলের সুবিধা করে দেয়া। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাস্তায় চলাচলরত গাড়ীর ফিটনেস সার্টিফিকেট বিহীন, ইনস্যুরেন্স কার্ড বিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন অপরাধীদের মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ অনুসারে জরিমানা ও ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ফিটনেস বিহীন গাড়ি রাস্তায় নামা কমতে শুরু করেছে। এভাবে অব্যাহতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাস ও ট্রাক মালিকদেরকে সচেতন করা হয়। তাদের সচেতনতার ফলে তারা রাস্তার ধারে বাস ও ট্রাক না রেখে নিরাপদ জায়গায় রাখতে শুরু করেছে।