প্রথমে লাইসেন্স পরে গাড়ি, ড্রাইভিং-এ হেলমেট পরিধান করি
- গল্প লিখেছেনঃ সাধন কুমার বিশ্বাস
- তারিখঃ 2017-04-18
- ভিজিটঃ 1804
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত আইন ‘মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩’ অনুযায়ী
কুড়িগ্রাম জেলাধীন ০৯(নয়) টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমান
আদালত পরিচালনা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত
১৬ আগস্ট ২০১৬ খিস্টাব্দ তারিখ বেলা ০১.০০ ঘটিকায় কুড়িগ্রাম জেলাধীন সদর উপজেলার
পচার মসজিদ নামক স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩-এর ১৩৮
ধারা মোতাবেক অভিযুক্ত জনাব মোঃ সামু-কে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে ৫০০/-(পাঁচশত)
টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযুক্তকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হলেও মূলতঃ উপস্থিত
সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রে প্রচলিত সকল
আইন-কানুন আমাদের মেনে চলা উচিৎ। মোটর সাইকেল চালনা ও আরোহনকালে হেলমেট পরিধানসহ প্রত্যেক চালকের নিকট ড্রাইভিং
লাইসেন্স, মোটর গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও মোটর গাড়ির ইনস্যুরেন্স সম্পর্কিত ডকুমেন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। তাই গাড়ি ক্রয়ের পূর্বে
প্রথমে যেমন সংশ্লিষ্ট চালকের লাইসেন্স থাকা জরুরি, তেমনি গাড়ি ক্রয়ের সাথে সাথে
গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ইনস্যুরেন্স সম্পর্কিত ডকুমেন্ট থাকাও অত্যাবশ্যক। এটা থাকা
উচিৎ শুধুমাত্র আইন মেনে চলার জন্য নয়, বরং আমাদের নিজস্ব সহায়তার জন্য, নিজস্ব
পরিবার-পরিজনকে স্বস্তিতে রাখার জন্য। একটি হেলমেট যেমন দুর্ঘটনায় পতিত একজন
ব্যক্তির মাথাকে সুরক্ষা প্রদান করতে সহায়ক, তেমনি তার সঙ্গে থাকা ড্রাইভিং
লাইসেন্সসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট সহায়ক হতে পারে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগসহ বিশেষ
মুহূর্তে তাকে তার প্রিয়জনদের নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্য। তাহলে কেন হেলমেট এবং
ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখা নয়! বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের
জানতে হবে ও অন্যদেরও জানাতে হবে এবং জানার
পাশাপাশি বিষয়টি মানতে হবে ও অন্যদেরও মানতে বাধ্য করতে হবে। এতে আমরা-ই বেশি
উপকৃত হব।