রহমতখালির খলনায়কদের বধ
- গল্প লিখেছেনঃ মোঃ আরিফুল ইসলাম
- তারিখঃ 2017-04-18
- ভিজিটঃ 1429
নদীমাতৃক
বাংলাদেশের খাল-বিল এখনও বাংলাকে কিছুটা হলেও সবুজ রেখেছে। আর আমাদের দেশের
বিভিন্ন প্রান্তরে খাল বিল প্রবাহমান রাখতে পারলে মাছ যেমন পাওয়া যাবে তেমনি
জীববৈচিত্র রক্ষা করাও সম্ভব হবে।লক্ষ্ণীপুর
জেলার রহমতখালি খাল প্রায় পুরো জেলাকে এঁকেবেঁকে অতিক্রম করেছে। কিন্তু এ খালের
উপর চলছে মানুষের বর্বর অত্যাচার, বাঁশের বাঁধ, ইমারত, ঘর বাড়ি ইত্যাদি নির্মাণ।
স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রহমতখালির উপর অবৈধ আগ্রাসন রুখতে জেলা প্রশাসকের
নির্দেশে সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
এবং আমি জেলা মৎস কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনসাধারণ নিয়ে সদর উপজেলার ৬ নং ইউনিয়ন থেকে
অবাঞ্ছিত সাঁকো, মাছ চাষ করার জন্য ঘের, অবৈধ কাঠামো উচ্ছেদ মিশনে আংশ নেই।
পূর্বেই
জেলা
প্রশাসন পরপর কয়েকটি উন্নয়ন সম্বনয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে এবং তা বিভিন্ন
মাধ্যমে সবাইকে অবগত করে সম্ভাব্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের বলিষ্ঠ
নেতৃত্বে প্রতিদিন কিছু কিছু করে খালটিকে তার শেকল থেকে মুক্ত করা হয়। এই মহাযজ্ঞ
প্রায় দেড় মাসের মত চলে।অবশেষে একদিন রহমতখালি আবার যৌবন ফিরে পায়। এই অভিযান
সুঅল করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যান, টাউট, সুবিধাভোগী চক্রান্তকারিদের
শত অপচেষ্টার কালশাপকে আমাদের ঐকন্তিক প্রচেষ্টায় পরাস্ত করতে সক্ষম হই। সেই খাল
এখন দেশী মাছের প্রাচুর্যে আর স্রোতের বিহব্বলে লক্ষ্ণীপুরবাসীর নিস্তেজ
জীবনযাত্রায় সঞ্জীবনী শক্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশের শত শত রহমতখালিকে
নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।