অপরিণত বয়সে বিয়ে


- গল্প লিখেছেনঃ লুৎফুন্নেসা খানম
- তারিখঃ 2017-04-18
- ভিজিটঃ 1685
২০১৬ সালের জুলাই মাসের ২৫ তারিখ একটি গোপনীয় সূত্রে খবর পাই বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশেই জেলা জজ আদালতের পাশে একজন আইনজীবির অফিসে বাল্য বিবাহ সংঘটিত হচ্ছে। আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি গহণ করে প্রয়োজনীয় পুলিশ, পেশকার এবং অন্যান্য সহযোগীদের সংগে নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দেই। সেখানে যাবার পর সংশ্লিষ্ট আইনজীবিকে না পেলেও বিয়ের পাত্র পাত্রী এবং পাত্রের সাথে একজন অভিভাবককে সাথে পাই। এরপর আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।পাত্রীর বয়স ছিল ১৬ এবং পাত্রের বয়স ছিল ৩০। মেয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে আমরা মেয়ের অপ্রাপ্ত বয়সের বিষয়টি নিশ্চিত হই। ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদের পর আমরা জানতে পারি মেয়েটি ও ছেলেটি (কাজেম সরদার) তাদের পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে এ বিয়ে করার জন্য উক্ত স্থলে এসেছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং অভিযুক্ত আসামীর( কাজেম সরদার) স্বীকারোক্তি গ্রহনের পর আমরা আইনি ব্যবস্থায় যাই। আসামীকে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৭(২) ধারার বিধানমতে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ১৯২৯ এর ৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এক মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করি। এরপর মেয়েটির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে আমরা মেয়েটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেই এবং মেয়েটিকে বুঝাই যে তার এখনো বিয়ে করার বয়স হয়নি এবং সে যে কাজটি করতে যাচ্ছিল তা একটা বিরাট বড় ভুল। এর কিছুদিন পর মেয়েটি আমার সাথে যোগাযোগ করে এবং জানায় যে সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে এবং এখন মন দিয়ে পড়াশুনা করে একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার জন্য চেষ্টা করছে। ছ
