ভিক্ষুকের হাতকে কর্মের হাতে রূপান্তরে মোবাইল কোর্ট !!


- গল্প লিখেছেনঃ আজিম উদ্দিন
- তারিখঃ 2017-04-17
- ভিজিটঃ 1346
কত কিছুই না ঘটছে আমাদের চারপাশে। খুব দ্রুতই বদলে যাচ্ছে চারপাশ। সরকারি
কাজের ধরণও পাল্টাচ্ছে। প্রশাসন এখন জনসেবার জন্য। গতানুগতিক সেবা প্রদানের
পাশাপাশি প্রশাসনের কাজে এসেছে বৈচিত্র্যতা। অফিসিয়াল কাজের বাইরে নানা সামাজিক
উন্নয়নমূলক কাজে এখন প্রতিযোগিতা চলছে। এ প্রতিযোগিতা দেশকে ভালবেসে সামনে এগিয়ে
নিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। দারিদ্রের অভিশাপ হতে মুক্ত করে নড়াইল জেলার দরিদ্র
জনগোষ্ঠীকে নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে নড়াইল জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে ভিক্ষুকমুক্ত
নড়াইল জেলা গঠনের কাজ চলছে নড়াইল জেলায়। ভিক্ষুক পুনর্বাসনের এ পথ ছিল বন্ধুর, কন্টকাকীর্ণ । এ কাজকে সফল
বাস্তবায়নে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে মোবাইল কোর্ট। নড়াইল জেলার
বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাট বা বাজারগুলোতে সেই চিহ্নিত ভিক্ষুকদের দেখা আজকাল আর পাওয়া
যায় না। তাদের ভিক্ষুকের হাত আজ কর্মের হাতে পরিণত হয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক
উন্নয়নে অবদান রাখছে । তাদের এই পরিবর্তনের পেছনের গল্পটা শোনা যাক। নড়াইল জেলা
প্রশাসন ভিক্ষুকদের মাঝে উপকরণাদি বিতরণের মাধ্যমে পুনর্বাসনের কাজ করছে। কতিপয়
ভিক্ষুক উপকরণাদি পেয়েও ভিক্ষাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছিল। তখন তাদের এই ভিক্ষাবৃত্তি
বন্ধে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পেনাল কোডের ২৯১ ধারামতে গণ
উপদ্রব বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান
করি। তাদের মধ্যে অন্ধ ভিক্ষুক প্রকাশ রায়, ফারুক, রিজিয়া’দের নাম উল্লেখ করা যায়।
এ কারাদন্ড তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। জেল হতে বের হয়ে তারা জেলা প্রশাসনের
সহযোগিতা নিয়ে আজ আত্ননির্ভরশীল। তাদের মধ্যে কেউ মুদির দোকানদারি করছে, কেউ
পশুপালন করছে, কেউ সবজি বিক্রি করছে, কেউ ভ্যান চালাচ্ছে কেউবা আবার বাদাম বা
সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাই বলা যায় দরিদ্র মানুষের জীবনমান
উন্নয়নে ও ভাগ্যের চাকা পরিবর্তিনে মোবাইল কোর্ট নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
অব্যাহত থাকুক মোবাইল কোর্ট, দারিদ্রমুক্ত হোক বাংলাদেশ ।
