চিংড়ি,জেলী ও আমাদের ব্যবসায়ী।

Client Logo
  • গল্প লিখেছেনঃ  সোহেল রানা
  • তারিখঃ 2017-03-07
  • ভিজিটঃ 1327
 

ওজনে কম দিয়ে ক্রেতাকে ঠকানো অসৎ ব্যবসায়ীদের একটি পুরনো চাল।সময়ের সাথে বদলেছে প্রতারণার ধরণও। চিংড়ি মাছ বিশেষ করে গলদা চিংড়ি উৎসব প্রিয় বাঙালির কাছে বেশ জনপ্রিয়। সেই চিংড়িতে এক ধরণের জেলী মিশিয়ে বেশ অনেক দিন ধরেই ক্রেতাদের ঠকিয়ে আসছিলেন ফেনীর বৃহত্তম আড়তের ব্যবসায়ীরা। জেলীযুক্ত ১ কেজি ওজনের মাছের মূল ওজন ৮০০ গ্রাম। ফলে প্রতি কেজিতে ২০০ গ্রাম ওজন প্রতারণা।সবচেয়ে ভয়াবহ হল এই জেলীর স্বাস্থ্যঝুকি যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।ঠিক এরকম এক অভিনব প্রতারণার সন্ধান পেয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি।অল্প সময়ের মাঝেই প্রায় তিনটি অভিযান পরিচালনা করে জব্দ করি প্রায় পাচ মণ জেলীযুক্ত চিংড়ি। চারজন ব্যবসায়ীকে দেড় লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করি। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি এই অভিযানগুলোর মধ্য দিয়ে ঘটে তা হল জনসাধারণ মিডিয়ার কল্যাণে প্রতারণাটির ব্যাপারে সচেতন হয়। ব্যবসায়ীরা মোবাইল কোর্ট অভিযানের ভয়ে অনেকটাই কমিয়ে নিয়ে আসে তাদের প্রতারণা।জেলা প্রশাসনের উপর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে জনগণের রাখা আস্থার প্রতিদান দিতে সক্ষম হয় জেলা প্রশাসন।অসাধু মাছ ব্যবসায়ী তথা সমগ্র মাছ ব্যবসায়ীদের নিকট এখন ফেনীতে জেলী মিশ্রিত মাছ বিক্রয় করা বেশ কঠিন। আইনের শাসন রক্ষা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।


 প্রিন্ট