মোবাইল কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ খবরসমূহ
![]() |
2016-10-28 - ময়মনসিংহ জেলায় পরিবেশ সংরক্ষন আইন-১৯৯৫ এর উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
আজ ২৮/১০/২০১৬খ্রিঃ তারিখ ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার চরপাড়া নামক স্থানে পরিবেশ সংরক্ষন আইন-১৯৯৫ এর উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। উক্ত আইনের ৬(খ) ধারায় ০১টি মামলায় ২,০০০/- টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
|
![]() |
2016-10-25 - মুন্সীগঞ্জে ড্রেজারে অবৈধ বালু আনলোড বন্ধ
মুন্সীগঞ্জ সদরের বাগবাড়ি ও মালিরপাথর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর রক্ষা বাঁধ ঘেষে যুবলীগ নেতাসহ দুই ব্যক্তির ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু আনলোড বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।জেলা প্রশাসনের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পৃথক দুটি স্থানে ধলেশ্বরী রক্ষা বাঁধে অভিযান চালিয়ে ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধ বালু আনলোড বন্ধ করে দেয়।এ সময় দুটি আনলোড ড্রেজার জব্দ করা হয় ও তিন জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।মুন্সীগঞ্জের যত্রতত্র এসব ড্রেজারের পাইপ সাধারণ জনগনের চলাচলের রাস্তার উপর ও রাস্তার পাশ দিয়ে স্থাপন করে নদী হতে বালু উত্তোলনের ফলে শহর রক্ষা বাধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত যানবাহন ও মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৪ টার দিকে শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুর বাগবাড়ি এলাকায় ও মুক্তারপুর ষষ্ঠ বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতুর নিচে অপর আরেক ব্যক্তির অবৈধ বালু আনলোড বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন।
|
![]() |
2016-10-22 - ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ
ইলিশ সম্পদ সংরক্ষন করার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় । কোর্ট পরিচলনা কালে 350মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় ।যার মূল্য 7000/-টাকা । মোবাইল কোট শেষে জব্দকৃত কারেন্ট জাল পুরে ফেলা হয় ।
|
![]() |
2016-10-22 - অনুশোচনা যখন শাস্তিকে ছাড়িয়ে যায়...
অক্টোবর মাস। মা ইলিশ রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটগন যখন রাত্রি দিনের হিসেব ভুলে জলে স্থলে নিরন্তর অভিযান চালাচ্ছে, তখন চাঁদপুরের সফরমালী ইউনিয়নের ছোট্ট নির্জন খালের উপর এক ডিঙ্গি নৌকায় বসে সত্তর বছরের এক বৃদ্ধ মনে মনে রুপালি ইলিশের স্বপ্ন দেখছিল। আপন মনে আব্দুল কাশেম একটি বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে মৃতপ্রায় একটি খালের উপর নৌকায় বসে অতি আদরের জিনিসখানি ভাঁজ করে রাখছে। গুছিয়ে রাখছে তার পরম যত্নে, প্রিয় জালখানি (কারেন্ট জাল), অভিযানের (মাছ ধরা) পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে। রাতে পদ্মায় নামতে হবে, আনতে হবে ঘরে রুপালি ইলিশ। আমার সেদিনের দায়িত্ব ছিল স্থলে। পথ ঘাট, হাট, বাজার কোথাও মা ইলিশের কেনাবেচা হচ্ছে কিনা, কেউ পরিবহন করছে কিনা, তাই দেখতে হবে। পাহারা দিতে হবে সেই সকল পথগুলো যে পথগুলো দিয়ে অবৈধ মাছ পাচার হয়। যথারীতি সঙ্গীয় ফোর্সসহ অলি গলি চষে বেড়াচ্ছি। হঠাৎ আমাদের মাইক্রোবাসটি সেই খালের পাশের রাস্তায় গিয়ে ব্রেক কষলো। গাড়ী থামার সাথে সাথে মৎস্য অফিসারসহ ফোর্সের সবাই তুরুকের গতিতে নেমে গেল তাদের ধরতে। আমি শুধু এক ঝলক বৃদ্ধের চোখটা দেখলাম। মুহূর্তে তার চেহারায় সর্বহারার ছাপ দেখতে পেলাম। কি করুন সেই চাহনি! তার কষ্ট যেন মুহূর্তে আমাকে ছুঁয়ে গেল। ততক্ষণে সে খালে ঝাঁপিয়ে পড়ল তার নাতিকে নিয়ে। খালের উপর একটা মাত্র বাঁশ দিয়ে সাকু তৈরি করা। বুট জুতা দিয়ে পার হওয়া খুবই কষ্টকর। তবু পুলিশের কনস্টেবলগন তা পার হয়ে সেই লোকটিকে ধরতে সক্ষম হলেন এবং আমার কাছে হাজির করলেন। নাতিটিকে ধরা গেলনা। ও পালিয়ে গেল। অপরাধতো সে করেছে, অপরাধীও ধৃত। এবার আমার পালা। সাজাতো দিতেই হবে। মৎস্য আইন বড় কড়া। মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষন আইন, ১৯৫০ এর ৪ক (১) বিধান অনুযায়ী কারেন্ট জাল মজুদ, বহন, পরিবহন করা, অধিকারী হওয়া কিংবা ব্যবহার করা যাবে না। করলে, ৫(২) অনুযায়ী অনূন্য তিন বছরের জেল এবং সাথে অর্থদণ্ডও প্রদান করিতে হবে যা এই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। অর্থাৎ নিয়মিত মামলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদেশ দিতে হবে। অসংখ্য অপরাধ প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশে এসব আকাশ পাতাল যখন ভাবছি তখন হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেলাম, দেখি সেই বৃদ্ধ আমার পা জড়ায়ে হাউ মাউ করে কাঁদছে। আমি দ্রুত সরে এসে উনাকে উঠতে বললাম এবং কাঁদতে বারন করলাম। ততক্ষণে সাড়া গ্রামের লোক জড়ো হয়ে গেছে। সতর্ক দৃষ্টিতে পরিস্থিতি আঁচ করে নিলাম। উপস্থিত জনতার মন পরখ করে নিলাম এবং বুঝতে পারলাম পরিস্থিতি অনুকুলেই আছে। অসংখ্য দৃষ্টি আমার উপর। কি করি আমি তাই দেখবে। এবারে আমি ভাল করে করণীয় ভেবে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম কেন তিনি এই কাজ করেছে, আইনত নিষেধ থাকা সত্বেও। লোকটির কথায় এবং তার সমর্থনে আসা শতাধিক লোকের ভাস্যমতে যা বোঝা গেল তা হলো লোকটি নিতান্তই সৎ, গরীব ও সরল প্রকৃতির লোক। তিনি পুর্বে ঐ ইউনিয়েনের মেম্বারও ছিলেন। ঘরে তার অসুস্থ স্ত্রী এবং সে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তার ছেলে মারা গিয়েছে। পরিবারে সে, তার শয্যাশায়ী স্ত্রী, তার পুত্রবধু এবং পাঁচ বছরের সেই নাতী। সে শুধু হাউ মাউ করে চিৎকার করছে আর বলছে যে, সে না বুঝে করে ফেলেছে, আর কোনদিন করবেনা, এবং বারংবার ক্ষমা চাইছে। উপস্থিত শতাধিক লোকও তার পক্ষে এবারের মতো ক্ষমা চাইছে আর বলছে তার পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যাবে তার কিছু হলে। ঐ এলাকার মেম্বার এসে উপস্থিত হলেন। এবার আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করলাম। তাদেরকে তার কৃত অপরাধ এর তীব্রতা এবং দেশ ও জাতির কি পরিমান ক্ষতি হচ্ছে এই কারেন্ট জাল ব্যবহার করাতে, মা ইলিশ ধরার ফলে যে প্রকারান্তরে তারা (জেলে কমিউনিটি) নিজেরাই বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, দেশর ক্ষতি হচ্ছে, এসব বোঝালাম। এই সময়ে কেন মা ইলিশ ধরা বন্ধ করা হয়েছে, এতে কিভাবে আমরা উপকৃত হব, সবকিছু বললাম। এতগুলো মানুষ একটা কথা না বলে আমার কথা শুনলেন। এবার আমি বললাম আপনারা যে উনাকে ছেড়ে দিতে বলছেন, এটা আমি কিভাবে করবো আপনারাই বলেন। সমস্ত গ্রামের মানুষের পক্ষে মেম্বার আমাকে বলল, এ কথা সত্য যে আমাদেরকে এই সময়ে মা ইলিশ ধরতে বারন করা হয়েছে এবং কারেন্ট জাল ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে, তবু আমরা করি, কারন আমরা জেলে। তবে আজ আমরা আপনাকে কথা দিলাম আমরা এই মৌসুমে নিষিদ্ধ সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত নদীতে নামবো না। আপনাদের এই এলাকা অন্ততপক্ষে আর পাহারা দিতে হবে না শুধু ওকে ছেড়ে দিন। আমি সার্বিক বিবেচনায় অপরাধ সংগঠিত এবং উদ্ঘাটিত হওয়ার পরও অপরাধীকে ছেড়ে দিয়ে চলে এলাম। তার জাল পুড়িয়ে দেওয়া হলো। বিজ্ঞ ম্যজিস্ট্রেটগন হয়তো আমার উপর দায়িত্ব অবহেলার আরোপ আনতে পারেন কিন্তু সত্যিকার অর্থে সেদিন আমি তাঁকে ছেড়ে দিয়েই বেশী স্বস্তি পেয়েছিলাম। সেটিই আমার ন্যায় বিচার মনে হয়েছে সেই পরিস্থিতিতে। মনে হয়েছে একটি অপরাধীকে ছেড়ে দিলে যদি আরো অনেকগুলো সম্ভাব্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ হয়, যদি আরো অনেকগুলো অপরাধী নিরপরাধী হয়ে যায়, তবে সেটা কি বেশী ভালো নয়? সেটিই কি আমাদের কাম্য নয়? বাস্তবিক কোনটা ন্যায় বিচার তার ভার আপনাদের উপর। ** এরপর আমি বহুবার ঐ এলাকা টহল দিয়েছি। কোন জেলে নৌকা নদীতে নামতে দেখিনি।
|
![]() |
2016-10-21 - ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ
ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য মোবাইল কোট পরিচলনা করা হয় । মোবাইল মোর্ট পরিচলনা শেষে 2400 মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় । জব্দকৃত কারেন্ট জাল যার মূল্য 48000/- টাকা । মোবাইল কোট পরিচলনা শেষে জব্দকৃত জাল পুরে ফেলা হয় ।
|
![]() |
2016-10-21 - ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ
ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় । কোর্ট পরিচালনা শেষে 2400 মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় । জব্দকৃত কারেন্ট জালের মূল্য 48000/- টাকা । জব্দকৃত জাল কোর্ট শেষে পুরে ফেলা হয় ।
|
![]() |
2016-10-20 - ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ
ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় । কোর্ট পরিচলনা কারল 1200মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় । যার মূল্য 24000/- টাকা । জব্দকৃত কারেন্ট জাল মোবাইল কোর্ট শেষে জব্দকৃত কারেন্ট জাল পুরে ফেলা হয় ।
|
![]() |
2016-10-20 - ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ
ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় । কোর্ট পরিচলনা কারল 1200মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় । যার মূল্য 24000/- টাকা । জব্দকৃত কারেন্ট জাল মোবাইল কোর্ট শেষে জব্দকৃত কারেন্ট জাল পুরে ফেলা হয় ।
|
![]() |
2016-10-20 - লাইসেন্স বিহীন ঔষধ বিক্রয় করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
এম.এম.রহমান,মুন্সীগঞ্জ ঃ মুন্সীগঞ্জে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ঔষধ বিক্রয় করার অপরাধে ৮টি ঔষধের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পৌর সুপার মার্কেটে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে তানিম ফার্মেসীকে সিলগালা, হালিম ফার্মেসীকে ২ হাজার টাকা, ক্ল্যাসিক ফার্মেসীকে ৫,০০০ টাকা, সৌরভ ফার্মেসীকে এক কে ২০,০০০ হাজার টাকা, সৌরভ ফার্মেসী দুইকে ৫,০০০ হাজার টাকা,সততা ফার্মেসীকে ৫০০টাকা, মুন্সীগঞ্জ মেডিকেল হল ৫,০০০টাকা, জান্নাত ফার্মেসীকে ২০,০০০টাকাসহ ৮ টি ঔষধের দোকানকে সর্বমোট ৫৭,৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। অভিযানকালে ঐষধ প্রশাসন কর্মকর্তা শিকদার কামরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ সদর খানার এস আই শাহাদাৎসহ জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ড্রাগলাইসেন্স ও ফার্মাসিস্টবিহীন ঔষধ বিক্রি না করার জন্য দোকানদারদের অনুরোধ করেন। সেই সঙ্গে ফার্মাসিস্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিজ দায়িত্বে দোকান বন্ধ রাখার ঘোষনা দেন। অন্যথায় দোকান সিলগালা ও ঔষধ জব্দ করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন। উল্লেখ্য লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীতে ফার্মাসিস্ট লাইসেন্সবিহীন লোক দিয়ে ঔষধ বিক্রির বিষয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও পত্র- পত্রিকায় রিপোর্ট হওয়ার পর জেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে আজ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
|
![]() |
2016-10-17 - ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ
ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় ।
|