ক্ষতিকর মুখরোচক খাদ্য সামগ্রী

Client Logo
  • গল্প লিখেছেনঃ  মোঃ রাফিউল আলম
  • তারিখঃ 2017-04-19
  • ভিজিটঃ 1959
 
দিনটি ছিল বুধবার, ২৮/১২/২০১৬ তারিখ। কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় জেলা খাদ্য পরিদর্শককে সঙ্গে নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্দেশ্যে বের হই। গন্তব্যস্থল উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর বাজার। ধারণা করতে পারিনি কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে যাচ্ছি। কয়েকটি দোকান ঘুরে একটি দোকানে খাদ্য পরিদর্শক সহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে প্রবেশ করা মাত্র দোকানির চোখে-মুখে একটি ভয়ের চিহ্ন লক্ষ্য করলাম। দোকানটি ভালোমতো ঘুরে দেখলাম। বেশিরভাগ জিনিসই শিশুদের/ছোটদের মুখরোচক খাদ্যসামগ্রী যেমন বিভিন্ন ধরনের আচার,চিপস ইত্যাদি। যেগুলোর কোনটারই অনুমোদন, মূল্য, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ নাই। হঠাৎ দোকানের পেছনের দিকে একটি দরজা দেখে সেটি খুলে ভেতরে প্রবেশ করলাম। এবার রীতিমতো অবাক হওয়ার পালা। থরে থরে সাজানো আচার, চিপস জাতীয় খাদ্যসামগ্রী। এগুলোর কোনটারই অনুমোদন নাই। দোকানিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারলাম তিনি পুরা জেলাতে সরবরাহ করেন এবং এগুলোর ভোক্তা বেশিরভাগই গ্রামের বিভিন্ন বয়েসি শিশু। দোকানিকে এধরনের খাদ্য মানুষের বিশেষ করে শিশুদের শরীরের জন্য যে কী ক্ষতিকর তা বুঝানোর পর দোকানি সহজেই বুঝতে পারে এবং তাঁর অপরাধ স্বীকার করে। এরপর তাঁর কৃত অপরাধ ও অপরাধের শাস্তিটুকু বুঝিয়ে দিয়ে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে ১০০০০ টাকা জরিমানা করি।  

 প্রিন্ট